মাকসুদ কামালকে সেইফ এক্সিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তিনিসহ তৎকালীন প্রশাসনের বিচার হবেই: সাদিক কায়েম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালকে অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ এবং শিক্ষক সংগঠনের একটি পক্ষ 'সেইফ এক্সিট' দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তবে তিনি বলেছেন, মাকসুদ কামালসহ তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনে যারা ছিলেন, এই স্বাধীন বাংলাদেশেই তাদের বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে জবানবন্দি দেওয়া শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক ভিসি প্রসঙ্গে আবু সাদিক কায়েম বলেন, 'ঢাবির সাবেক ভিসি মাকসুদ কামালের ব্যাপারে আমাদের কাছে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য এসেছে। মাকসুদ কামালকে বিভিন্নভাবে শেল্টার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নজন করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে সংগঠনগুলো আছে, তাদেরও একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে তাকে 'সেইফ এক্সিট' দেওয়ার চেষ্টা করছে।'
তিনি বলেন, 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে এসে এখানকার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়েছেন। সেই মাকসুদ কামালের বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশে হবে। ওই সময়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ছিলেন সবার বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশেই হবে।'
আন্দোলনের সময়কার বর্বরতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, 'তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তের দাগ লাগিয়েছেন, ভাইবোনদের মেরে রক্তাক্ত করেছেন। আহতরা যখন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, সেই হাসপাতালেও তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। ইসরায়েলিরা যেভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে, ঠিক একই কায়দায় বরং তার চেয়েও বর্বর কায়দায় আমাদের ভাইবোনদের ওপর হামলা করা হয়েছে।'
তিনি জানান, হামলার সব প্রমাণ তাদের হাতে আছে এবং সেগুলো তারা তদন্ত সংস্থাকে দিয়েছেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের আহ্বানে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জবানবন্দি দিতে আসেন ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তারা তদন্ত সংস্থার কাছে জুলাইয়ের গণহত্যা, শিশু হত্যা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনায় শেখ হাসিনার সহযোগীদের ভূমিকার বিষয়ে জবানবন্দি দেন।
