জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ: দুদকের মামলায় জামিন হয়নি আসাদুজ্জামান নূরের

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১২ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'দুদকের মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আসাদুজ্জামান নূরের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা এই জামিনের বিরোধিতা করি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।'
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন।
এছাড়া, আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তার পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা।
সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তার অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানান।
এছাড়াও আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।
ওই ঘটনায় গত ৩০ জুলাই ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জামিন শুনানির জন্য আজকে রোববার দিন ধার্য রাখেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডের নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।