কাকরাইলে জাতীয় পার্টির সমাবেশে পুলিশের বাধা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরের পর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে কর্মী সমাবেশ শুরু করে দলটি। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ শীর্ষ নেতারা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। চারপাশে মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
সমাবেশে নেতারা জিএম কাদেরসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি, মব ভায়োলেন্স বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, সকল দলের সমান সুযোগ এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানান। তবে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ শুরুর পরপরই ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সদস্যরা প্রথমে মৌখিকভাবে তাদেরকে সরতে বললেও পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, 'পুলিশ গণঅধিকার পরিষদ ও কয়েকটি দলের প্ররোচণায় পড়ে আমাদের স্বৈরাচারের দালাল আখ্যা দিয়ে সমাবেশ কর্মসূচি বন্ধ করতে চাচ্ছে।' এ সময় তারা 'জিএম কাদের জিএম কাদের' স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ দাবি করেছে, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাই প্রথমে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ আল ফারাবী বলেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা জলকামান ও টিয়ারশেল ব্যবহার করেছি।'