বাংলাদেশ-সৌদি আরব অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, শ্রম, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই দেশের অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক হওয়ায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকায় 'সৌদি আরব–বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৫' এবং 'সৌদি আরব–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএবিসিসিআই)'-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, 'জ্বালানি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জোরালো সুযোগ রয়েছে, কারণ বাংলাদেশের জ্বালানি এবং মূলধনের প্রয়োজন। অন্যদিকে সৌদি আরবের উভয়ই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা টেক্সটাইল এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করতে পারি, যা সৌদি আরবে একটি শক্তিশালী বাজার খুঁজে বের করতে পারে।'
ড. মনসুর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ কাজ করেছেন এবং উপসাগরীয় অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ২০০০-এর দশকের শুরুতে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা স্মরণ করেন তিনি বলেন, 'আমি লক্ষ্য করেছি পিআইএফ দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে, কিন্তু এখনও বাংলাদেশে নয়। আমার বিনীত পরামর্শ, সৌদি পাবলিক ও প্রাইভেট ফান্ডগুলোও বাংলাদেশে আসা উচিত।'
তিনি বাংলাদেশকে 'স্থিতিশীল ও গতিশীল' অর্থনীতি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তিন দশক ধরে দেশের প্রবৃদ্ধি পজিটিভ রয়েছে, যদিও বিশ্ব ও দেশের নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি বলেন, 'অনেক ধরনের ধাক্কা—প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক—সত্ত্বেও আমাদের প্রবৃদ্ধি কখনও নেগেটিভ হয়নি। বেসরকারি খাতই এখনও দেশের প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি।'
ড. মনসুর দুই দেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী আর্থিক সহযোগিতার গুরুত্বও উল্লেখ করেন, যাতে সৌদি আরবে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স স্থানান্তর আরও কার্যকর ও সাশ্রয়ী হয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সদ্য গঠিত সৌদি আরব–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।