প্রশাসনের বিশেষ ইসলামিক দলের লোকেরা নিরপক্ষে নির্বাচন হতে দেবে না: রিজভী
প্রশাসনের বিশেষ ইসলামিক রাজনৈতিক দলের লোকেরা নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর নতুন কমিটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন এবং জনগণও ভোট দিতে প্রস্তুত। সুতরাং নতুন কোনো ইস্যু তৈরি করে জনমনকে এবং মানুষের চোখকে বিভ্রান্ত করার যারা চেষ্টা করছেন, তারাও জনগণের কাছে ধরা খেয়ে যাবেন।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ সরকার। তারা কোনো দিকে হেলবে না, কোনো দিকে যাবে না। তাই আবারও বলি, আজকে প্রশাসনে বিভিন্ন জায়গায় একটি বিশেষ ইসলামিক রাজনৈতিক দলের লোকজনদেরকে খুব কৌশলে নানাভাবে তাদেরকে বসানো হচ্ছে, বসানো হয়েছে প্রশাসনে। এটা দিয়ে কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জনগণ প্রত্যক্ষ করছে, আমরাও প্রত্যক্ষ করছি। কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে এই সমস্ত বিশেষ রাজনৈতিক দলের মনোভাবপূর্ণ প্রশাসক এবং লোকদের বসানো হচ্ছে। তারা কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে দেবে না।'
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, 'ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি আমাদের আস্থা দলের আছে; সেই আস্থা রেখেই বলব, আপনারা এমন ব্যক্তিদের নিয়োজিত করুন, যারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কোনো দলের আজ্ঞাবহ হবে না।'
রিজভী বলেন, 'তারেক রহমান জুলাইয়ের আন্দোলন এবং ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের যুগান্তকারী আন্দোলনের পটভূমি রচনা করেছেন, দূরে থাকলেও নেতৃত্ব দিয়ে গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আমরা সেই ধারাতেই আজকে এদেশের রাজনীতি করছি। কিন্তু যুগযুগ ধরে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিনষ্ট করা, ধ্বংস করার জন্য আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরা যেভাবে চক্রান্ত করে, সেই চক্রান্ত এখনও থেমে নেই, তারা নানাভাবেই চক্রান্ত করছেন এবং তাদের চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য, নানা ধরনের মাস্টার প্ল্যান তারা করে যাচ্ছে।'
'কিন্তু এদেশের জনগণ সবকিছু অন্ধকার দূরীভূত করে, সবকিছু অশুভ পরিকল্পিত চক্রান্তকে দূর করে, এদেশের জাতীয়তাবাদের পতাকা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকাকে নিশ্চিত করবে। এটাই সবসময় প্রবাহিত হয়েছে', যোগ করেন তিনি।
দুর্গাপূজার সময় ভারতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চেহারায় অসুরের মূর্তি তৈরির ঘটনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, 'দুর্গাপূজাতে কিনা ষড়যন্ত্র হয়েছে, কতটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা দেখেছি। আমরা দেখতে পেলাম যে, ভারতে অসুরের মূর্তি বানানো হয়েছে ড. ইউনূসের চেহারা দিয়ে, তার মুখমণ্ডল দিয়ে। এগুলো তো অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়। এটা তো একেবারেই একটা অপসংস্কৃতির পরিচয়।'
এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
