শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২ বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)-তে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২ বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে আজীবন এবং ২৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'
জানা যায়, গত বছর মেসে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসিরকে আজীবন বহিষ্কার ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মুস্তাফিজ অয়নকে চার সেমিস্টার; শরিফুজ্জামান খান আতিফ, সাবিদ আবরার তাজিম, অনিক আহমেদ, প্রীতম সাহা, সুয়েল রানা, জুবায়ের হোসেন তালুকদার জিম, মো. নাঈম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ধর ও মিঞা মোহাম্মদ সায়্যদুল বাশার রিফাতকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৫ ছাত্রীকে র্যাগ দেওয়ায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে কাজী তাসমিয়া হক অরিশা ৪ সেমিস্টারের জন্য এবং বাকি চারজন— ফারজানা মেহেরুন নূহ্য, তাসমিয়াহ আলম মাইশা, লামিয়া ইসমাইল জুঁই ও শ্রাবণী দে প্রিয়া— আবাসিক হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে কারো যদি আবাসিকতা নাও থাকে, তারা হলে সিটের জন্য ভবিষ্যতেও যোগ্য হবেন না। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে র্যাগিংয়ের মত কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর প্রশ্নে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তাদের মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, ১৪ নভেম্বর মেসে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পরিসংখ্যান বিভাগের মো. সাগর হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেনকে দুই সেমিস্টারের জন্য এবং একই বিভাগের শিবরাজ ত্রিপুরা, জুবায়ের আব্দুল্লাহ, রিয়াদুস সালেহীন রিয়ান, তন্ময় কর্মকার সাগর, ইয়াজউদ্দিন পাটোয়ারী ও নাফিস ইমতিয়াজ রুহানকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করেছে, ভবিষ্যতে তাদের হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে না।