বিএনপি-জামায়াত প্রশাসনে লোক নিয়োগ করিয়েছে, পরে ডিসেম্বর থেকে অসহযোগ শুরু করেছে: মাহফুজ আলম

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে।
তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে। নিয়োগের আগে তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে যত সময় লাগে দেওয়ার পক্ষে ছিল। তবে নিয়োগ শেষ হওয়ার পরপরই ডিসেম্বর মাস থেকে তারা অসহযোগ শুরু করে দিয়েছে।'
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সংলাপে সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিকের ওয়েজ বোর্ড, বিটিভি ও বেতারে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন মাহফুজ আলম।
তিনি জানান, প্রথমে ওই দুই দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারের জন্য সময় দিতে সমর্থন জানিয়েছিল, তবে ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের মনোভাব বদলে যায়।
মাহফুজ বলেন, 'বাংলাদেশে সবাই গোষ্ঠীস্বার্থের জন্য কাজ করে। জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সামগ্রিকভাবে কোন জিনিসটা করলে একটা ভালো আইন পাওয়া যাবে, ভালো একটা নীতি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কেউ আগ্রহী না।'
আমলাদের সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, 'আমলারা পরের সরকারের অপেক্ষায় আছেন। সবাই পরের সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা হলো ট্রানজিশনাল সরকারের দুর্বলতা।'
বর্তমান সরকারের 'বড় ক্রাইসিস' (সংকট) আছে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, 'এক মাস ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে ছাত্র উপদেষ্টারা নেমে যাবেন। ফলে ছাত্র উপদেষ্টাদের দপ্তর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এক মাস ধরে। সেখানে কাজ শ্লথ হয়ে গেছে।'
জুলাই অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা ছিল, সে অনুসারে কাজ করা সম্ভব হয়নি স্বীকার করেন তিনি বলেন, 'দেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে, তা অটুট রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।' তিনি জানান, 'সামরিক–বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয়।'