মিডিয়া ফ্লোটিলায় গাজায় যাচ্ছেন শহিদুল আলম

গাজা উপত্যকার অবরোধ ভাঙতে ও ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে গণমাধ্যমকর্মীদের বহনকারী নৌযাত্রা 'মিডিয়া ফ্লোটিলা'য় অংশ নিতে যাচ্ছেন খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও দৃক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। সেখানে যোগ দিয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গাজামুখী ফ্লোটিলায় উঠবেন শহিদুল।
আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) দৃক এক বিবৃতিতে জানায়, বিকেল ৩টায় পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন শহিদুল। সেখানে তিনি ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্দেশ্য তুলে ধরবেন এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতির বার্তা দেবেন।
বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে নিশ্চিত করেছেন শহিদুল আলমের স্ত্রী, লেখক ও অধিকারকর্মী রেহনুমা আহমেদ।
তিনি বলেন, 'শহিদুল যাচ্ছেন বলে আমরা গর্বিত এবং বাংলাদেশকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় প্রতিনিধিত্ব করতে দেখে গর্বিত। আমাদের পাসপোর্টে ইসরায়েল ভ্রমণ নিষিদ্ধ, যেমনটি থাকা উচিৎ এবং আমি সবসময় তাতে গর্ব বোধ করেছি।'
'শহিদুলের জীবনসঙ্গী হিসেবে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আমার কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা নির্লজ্জতা হবে, কারণ গাজায় নারী-পুরুষ-শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আমি চাই গণহত্যা বন্ধ হোক এবং সবার নিরাপত্তা কামনা করি।'
তিনি আরও বলেন, 'গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা প্রায় দুই বছর ধরে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর সহায়তায় এটি অব্যাহত আছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও ইসরায়েলের নৃশংসতা এখনও চলমান। ইসরায়েল প্যাথলজিক্যাল। দাবি হওয়া উচিত—এক রাষ্ট্র, ফিলিস্তিন, যেখানে মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানরা শান্তিতে বসবাস করবে।'
বিশ্বের বিভিন্ন নাগরিক সমাজের সংগঠন নিয়ে গঠিত ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন দীর্ঘদিন ধরে থাকা গাজার অবরোধ ভাঙতে যাচ্ছে। এই অভিযানে তাদের জাহাজগুলোতে মানবিক সহায়তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের বহন করা হবে। উল্লেখ্য, একাধিকবার আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাধা ও হামলার শিকার হয়েছে তারা।
চলতি বছরের ৩১ আগস্ট বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী মানবিক সহায়তা নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা উদ্যোগে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী দুবার তাদের বহরে হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে বহরটি গ্রিসের জলসীমায় নোঙর করা রয়েছে।
আজকের ঘোষণায় দৃক আরও জানিয়েছে, 'বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সত্ত্বেও ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে মানুষ নির্বিচারে হত্যার শিকার হচ্ছে, আরোপিত দুর্ভিক্ষে কষ্ট পাচ্ছে।'
আসন্ন গণমাধ্যম ফ্লোটিলার লক্ষ্য—গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কণ্ঠস্বর বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া ও তথ্য অবরোধ ভাঙা।