নির্বাচনে এনসিপি পাবে ১৫০ আসন, বিএনপি ৫০-১০০-এর বেশি নয়: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল এনসিপি ১৫০ আসন পাবে। অন্যদিকে বিএনপি ৫০ থেকে ১০০ এর বেশি আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আঁগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'বৈঠকে নিবন্ধন, প্রতীক ও প্রবাসী ভোটাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন আমাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের জন্য একটি সুখবর আসছে, জুলাই পরবর্তী সময়ে। আমরা আজকেও বলেছি শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না।'
প্রতীক নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। ইসি না মানলে কীভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আমাদের শাপলা ছাড়া বিকল্প অপশন নেই।'
এনসিপির প্রার্থিতা প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'জেলায় জেলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, জুলাই অভ্যুত্থানে নারী, গণঅভ্যুত্থানে কৃষক, শ্রমিকসহ যারা ছিলেন তাদের নিয়ে এনসিপির প্রার্থিতা থাকবে। আমাদের আলোচনা চলছে।'
বিকেল ৪টার দিকে তিন সদস্যের এনসিপি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, 'ইসি যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিকে যাচ্ছে, আমরা আশাবাদী। নিবন্ধন দেওয়ার যে শর্ত, তা পূরণ করেছি। ইসি আমাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েই এ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে।' এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই এনসিপি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন সনদ পাবে বলে জানান তিনি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হবে। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণও থাকতে হয়।
সব কিছু পর্যালোচনা করে যোগ্যদের বিষয়ে প্রতীকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চলতি মাসেই নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।