নাশকতার মামলায় দণ্ডিত ৮ ছাত্রদল নেতার জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

রাজধানীর দুই থানার নাশকতার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদলের আট নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ও মিনহাজুর রহমানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আওয়াল খান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক সবুজ, সহসভাপতি সোহাগ মোল্লা, সাবেক ছাত্রদের নেতা মো. শরীফুল ইসলাম মাসুম, ছাত্রদল নেতা হান্নান মামুন, ছাত্রদল নেতা রাশেদ উল্লাহ রাশেদ, ছাত্রদল নেতা আলমগীর বিশ্বাস রাজু এবং ছাত্রদল নেতা মো. রাসেল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান আট নেতাকে নাশকতার মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকার সাজা দিয়েছিল মিথ্যা মামলায়। আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আজকে তারা আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।'
তিনি বলেন, 'আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে অতি শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এদের মধ্যে গুলশানের একটি ও বনানী থানার দুই মামলায় আওয়ালের সাত বছর, গুলশান থানার এক মামলায় রাসেল ও রাজুর সাড়ে তিন বছর এবং বনানী থানার এক মামলায় অপর পাঁচজনের দুই বছরের সাজা হয়েছিল।'
নথি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান থানার এক মামলায় ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর আব্দুল আউয়াল খান, আলমগীর বিশ্বাস রঞ্জু এবং রাসেলকে সাড়ে তিন বছর, আউয়ালকে গুলশান থানার আরেক মামলায় দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়।
এছাড়াও বনানী থানার এক মামলায় আব্দুল আউয়াল, সবুজ, সোহাগ, শরীফুল ইসলাম মাসুম, হান্নান মামুন এবং রাশেদ উল্লাহকে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১১ এবং ২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে গুলশান থানার পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এছাড়া, ২০১২ সালে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী আইনে বনানী থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।