বিরোধের জেরে শরীয়তপুরে যুবকের চোখ উপড়ে, রগ কেটে জখম; আটক ২

শরীয়তপুরের জাজিরায় নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন রমজান নামের এক ইজিবাইকের চালক (স্থানীয়ভাবে অটো নামে পরিচিত)। হামলাকারীরা ওই যুবকের দুই চোখ উপড়ে ফেলে এবং তার হাত-পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে জখম করেছে।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রুপবাবুরহাট এলাকার একটি বাঁশঝাড় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রমজান মোল্লাকে। স্থানীয়রা প্রথমে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
পুলিশের সূত্র জানায়, অটো (ইজিবাইক) নিয়ে জাজিরা থেকে নাওডোবা যাচ্ছিলেন রমজান। পথে ৪-৫ জনের সংঘবদ্ধ চক্র তার গতিরোধ করে। পরে জোরপূর্বক তাকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে এবং পায়ের রগ কেটে দেয়।
রমজানের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে পালানোর সময় শাজাহান সম্রাট নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন হামলাকারী সুমন শিকদারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হোসেন শিকদার বলেন, "আমরা খবর পাই বাঁশঝাড়ের ভিতর এক লোককে মারধর করা হচ্ছে। পরে লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি এক লোককে সুমন শিকদারসহ আরও কয়েকজন মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে। পরে আমাদের দেখে সুমনসহ সবাই দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজাহানকে আমরা আটক করে পুলিশে দিয়েছি।"
হামলার শিকার আহত রমজান মোল্লা বলেন, "আমি অটো নিয়ে নাওডোবা যাওয়ার সময় সুমন শিকদার, সোহেল চাপলাসী, সোহেল চৌকিদার, শাহজাহান সম্রাট, বাচ্চু সুমনসহ আরও কয়েকজন গাড়ি থামায়ে আমাকে জোর করে বাঁশবাগানে নিয়ে যায়, সেখানে আমার চোখ উঠায় ফেলে ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।"
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ পারভেজ সেলিম বলেন, "এক ব্যক্তির চোখ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে ও হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় আহতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এপর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি চলছে।"