রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে পুলিশের ওপর হামলা: অজ্ঞাতনামা ৩,৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে 'ইমাম মাহদি' দাবিকারী নুরুল হক মোল্লা ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর মামলাটি দায়ের করেন। আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, নুরাল পাগলার লাশ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়েছে উত্তেজিত জনতা। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে 'ইমাম মাহদি' দাবিকারী নুরাল পাগলার 'লাশে অগ্নিসংযোগ', নিহত ১, আহত শতাধিক
ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের একপর্যায়ে তৌহিদি জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরিফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা নুরাল পাগলা নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করতেন। সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর ভিন্নরীতিতে তাকে তার কবর দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তেজিত জনতা নুরাল পাগলার আস্তানায় হামলা করে। এসময় পুলিশের দুটি ও ইউএনও'র একটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং মাজারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় নুরাল পাগলার অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়।