প্লট দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে ৪ আইনজীবীর আবেদন, নাকচ আদালতের

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চাওয়া চার আইনজীবী নিয়োগের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে বিচারাধীন ৩টি মামলায় আইনজীবী হতে আবেদন করেন তারা। কিন্তু এসব মামলায় আসামি পলাতক থাকায় বিচারক এই আবেদন নাকচ করেছেন। আইনজীবীরা হলেন, মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী ছালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় তৃতীয় দিনে আরও ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারি দেলোয়ার হোসেন, কর সার্কেল প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কর সার্কেলের কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক ও কর সার্কেল নোটিস সার্ভার মো. আবু তাহের।
তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। এসকল মামলায় আসামিরা পলাতক থাকায় সাক্ষীদের জেরা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন- রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
সম্প্রতি এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলাগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনাকে আসামি করে দায়ের করা মামলাগুলো বর্তমানে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।