চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ: হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ প্রশাসনের ৮ সিদ্ধান্ত

গত শনি ও রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ ৮ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট কক্ষে উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ ৮ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট কক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হামলার বিষয়ে ৮টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, 'উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, সব ডিন, সিন্ডিকেট সদস্যদের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যার দিকে একটি জরুরি মিটিং হয়। মিটিংয়ে কতগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. সংঘর্ষে আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসন বহন করবে। এর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
২. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি মডেল থানা স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করবে প্রশাসন।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশ বক্স স্থাপনের ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
৪. আজকের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে প্রশাসন।
৫. সংঘর্ষে ঘটনা পর্যালোচনার জন্য আগামীকাল ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) একটি জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে।
৬. জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সাথে সমন্বয় করার জন্য একটি কমিটি করা হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য একটি হটলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।