হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ৯ সেপ্টেম্বরেই ডাকসু নির্বাচন দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট থেকে বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মিছিলসহ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা '৯ তারিখে ডাকসু, দিতে হবে দিতে হবে', 'ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার', 'এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার'সহ নানা স্লোগান দেন।
ছাত্রনেতা ও ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শামীম হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, 'কোনো অজুহাত নয়, ডাকসু নির্বাচন হতে হবে।'
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খানও বলেছেন, 'নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হতে হবে।'
'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ'-এর ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের তাৎক্ষণিকভাবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে 'ডাকসু চাই আন্দোলন'-এর ডাক দেন। তিনি ঐক্যবদ্ধ ও অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বকর মজুমদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ডাকসু হবে, নইলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের দাবি স্পষ্ট— ৯ সেপ্টেম্বরই নির্বাচন।'
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাহিদ আহসান বলেন, 'ডাকসু স্থগিত করার হাইকোর্টের আদেশ মানি না। এবারের ডাকসু অভ্যুত্থানের ফসল। অভ্যুত্থানকে হাইকোর্ট দেখাইতে আসবেন না। ডাকসু স্থগিত করার আদেশ অভ্যুত্থানের কমিটমেন্ট ভঙ্গের শামিল। আমরা এই আদেশকে প্রত্যাখ্যান করলাম।'
এর আগে, এদিন এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এস.কে. তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ডাকসুর কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।