ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮-১০টি মানবতাবিরোধী মামলার বিচার শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৮-১০টি মামলার বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, 'এই মামলাগুলোর মধ্যে দুই-তিনটির বিচারকাজ পুরোদমে চলছে। বেশ কয়েকটির তদন্ত প্রায় শেষের পর্যায়ে রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮-১০টি মামলার বিচার সম্পন্ন হবে।'
শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স (ডায়রা) আয়োজিত বেঙ্গল ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে প্যানেল আলোচক হিসেবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, 'গত জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার ও নির্যাতনের মাধ্যমে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার বিচার শুরু করা বেশ জটিল ছিল। কারণ অনেক প্রমাণ ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানের জনগণের সমাগম পর্যবেক্ষণ করে কোথায় কিভাবে হামলা করা হবে, হেলিকপ্টারে নাকি লিথ্যাল উইপন দিয়ে, সেই রেকর্ডগুলো ছিল জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর যখন তদন্ত শুরু করা হলো, এনটিএমসি তদন্তের আগেই ওই পর্যবেক্ষণের রেকর্ডগুলো ধ্বংস করে দেয়। ডিলেট হওয়া রেকর্ডগুলো আবার পুনরায় উদ্ধার করে তদন্তে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ২৩ সদস্য যারা আগে কখনো মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করেননি, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বর্তমানে তদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন বিচার কাজের গতি যেভাবে চলছে, তাতে বলা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৮-১০টি মামলার বিচার সম্পন্ন সম্ভব।'
তাজুল ইসলাম বলেন, 'আগামী নির্বাচিত সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে যাতে জুলাই-আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার স্বচ্ছ ও ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হয়। যদি তা না হয়, তবে এটি হবে জুলাই-আগস্ট শহিদদের রক্তের সাথে বেঈমানি। এই বিচার যাতে অব্যাহত থাকে, এজন্য জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া বিকল্প নেই।'