ডাকসু নির্বাচন: এজিএস পদে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকেই পাঁচ প্রার্থী

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বাগছাস সমর্থিত 'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ' প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদকের পদে মনোনীত হয়েছিলেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার মুখ্য সংগঠক মো. হাসিবুল ইসলাম। তবে ডাকসুর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, এজিএস পদেও তার নাম রয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় হাসিবুল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন যে তিনি এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
একই প্যানেল থেকে এজিএস প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাগছাসের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুন। আশরেফা এবং হাসিবুল ছাড়াও বাগছাস থেকে এ পদে লড়বেন আরও তিনজন নেতা—কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সানজানা আফিফা এবং ঢাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মো. আশিকুর রহমান জীম।
একই পদে সংগঠনের পাঁচ নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শৃঙ্খলার ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরেফা খাতুন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সবার মধ্যে নেতৃত্ববোধ তৈরি হয়েছে, তাই সবাই ডাকসু নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র চর্চা করতে দিচ্ছি।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন পর্যন্ত আমরা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করিনি।'
বাগছাসের সদস্যসচিব এবং জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, 'হাসিব দুই পদে নমিনেশন কিনেছে, এটা আমাদের স্ট্রাটেজি (কৌশল)।'
এর আগে স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেছিলেন, 'দলের নেতাদের সাথে মতৈক্য না হওয়ায় স্বতন্ত্রভাবে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'