ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু সোমবার

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে শুরু হচ্ছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) শুরু হতে যাওয়া চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেবে উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
ভারতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিংহ চৌধুরী, আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
গত বছর অগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটি দুই দেশের দ্বিতীয় মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন।
বিজিবির পক্ষ থেকে গত ১০ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৫-২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে আলোচনায় আসবে- সীমান্ত হত্যা, পুশ-ইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান বন্ধ, সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ ও অননুমোদিত স্থাপনা প্রতিরোধ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় যৌথ উদ্যোগ, সাম্প্রতিক ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের কারণে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনসহ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়।
অন্যদিকে, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে বাংলাদেশে ভারতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, সীমান্তে অবকাঠামো, বিএসএফ জওয়ান ও ভারতীয় নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা প্রতিরোধ, সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা, সিঙ্গল-রো বেড়া নির্মাণ এবং যুগ্মভাবে সীমান্ত পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ৭ মে থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারত বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ২ হাজার ১৯৬ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
বিজিবির দাবি, তাদের মধ্যে ৩৯ জন মিয়ানমারের নাগরিক, যাদের নাম জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাই কমিশনারের তালিকায় নথিভুক্ত।
বিজিবির আরও দাবি, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে ১০০ জন ভারতের নাগরিক। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভিসাবিহীন অবস্থায় ছয় ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন সন্তানসম্ভবা নারীও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। তখন বছরে একবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বছরে দু'বার মহাপরিচালক পর্যায়ের এ সম্মেলন হবে।