নোয়াখালীতে বিপন্ন নেউল পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক; মামলার সিদ্ধান্ত বন বিভাগের

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নে বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী নেউল (বেজি) পুড়িয়ে মেরে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোয়াখালী বন বিভাগ।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে নোয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ। অন্যদিকে এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালেও অভিযুক্ত পলাতক।
অভিযুক্ত আকবর হোসেন হৃদয় জিরতলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে তার একটি পোল্ট্রি খামার রয়েছে।

"ওয়াইড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ" এর বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মী মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডার কে জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে আকবর হোসেন হৃদয় নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি নেউল (বেজি) পুড়িয়ে মারার দৃশ্য প্রচার করা হয়। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে খাঁচায়বন্দি এক নেউলের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখা য়ায়। এসময় থাকে বলতে শোনা যায়, 'আমার একশ বাচ্চা খেয়ে ১০ হাজার টাকা নষ্ট করে দিয়েছ'।
মাকসুদুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে দেখে আমি ওই অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করি। এরপর সারাদেশ থেকে আমাদের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা অসংখ্য মানুষ সাড়া দেয়।
পরে বন অধিদপ্তরের বেগমগঞ্জ রেঞ্জ, নোয়াখালী ওয়াইল্ডলাইফ অ্যানিমেইল রেসকিউ টিম,নোয়াখালী এনিমেল ওয়েলফেয়ার কমিউনিটি ও ড্রিম লাইট অফ হেল্প সেন্টারসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আসামি করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক।
প্রসঙ্গত বেজি বা নেউল নকুল নামেও পরিচিত। একটি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। তবে প্রজাতিটি বাংলাদেশে বিপন্ন শ্রেণীভুক্ত। দিনের বেলায় খাবার সংগ্রহ করে রাতে মাটিতে নিজেদের তৈরীকৃত গর্তে বাস করে। মাছ, হাঁস-মুরগি, অন্য ছোট প্রাণী এদের খাদ্য। শহরে ঝোপ ঝাড় বিশিষ্ট এলাকায় এবং গ্রামে এদের দেখা যায়।