আমদানির ঘোষণায় পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে

পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম অন্তত ১০ টাকা কমেছে। হুহু করে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ার ঘোষণার পরপরই এ দাম কমে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আমদানির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই আড়তগুলো ক্রেতা সংকটে ভুগছে।
ঢাকার অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ দুই দিন আগেও দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, 'দুই দিন ধরে বাজারে ক্রেতা নেই। আজ (বৃহস্পতিবার) তো একেবারে খালি। আমদানির খবরে খুচরা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'উৎপাদন যতই হোক, প্রতিবছরই ২০-২৫ শতাংশ পেঁয়াজ সংকট থাকে। এটা ৩০-৩৫ বছর ধরে আমি দেখে আসছি। প্রায় ৭-৮ মাস দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা পূরণ হয়েছে। একারণে যখন কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বাড়ে, তখন যার ১০ কেজি লাগবে সে আরও দাম বাড়ার ভয়ে ২০ কেজি কিনতে চায়। একারণেই সংকট তৈরি হয়।'
এদিকে কারওয়ানবাজারেও পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়, যা দুই দিন আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, 'আমদানির খবরে গতকাল (১৩ আগস্ট) থেকে বিক্রি কমে গেছে। আজকেও বিক্রি নেই। আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও আমদানির পেঁয়াজ বাজারে আসতে সময় লাগবে।'
যদিও খুচরা বাজারে এখনো এর প্রভাব পড়েনি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। তারও আগে দীর্ঘদিন ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে ৩৮ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ টনের বেশি। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পোস্ট হারভেস্ট লস হয়েছে।
গত মৌসুমে কৃষকদের উৎপাদন খরচ ছিল কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪৮ টাকা।