অন্তর্বর্তী সরকার ও আগের সরকারগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: মাইকেল চাকমা

অন্তর্বর্তী সরকার ও এর আগের সরকারগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা।
তিনি বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম অধ্যাপক ড. ইউনূস সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এক বছর পর আমরা দেখি, হাসিনার সময় ও তার আগের সরকারগুলো যেভাবে অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল, এর সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পার্থক্য নেই।'
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাইকেল চাকমা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর চতুর্থ কাউন্সিল উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সেবক নয় উল্লেখ করে মাইকেল চাকমা বলেন, '২০১০ সালে সাজেকে চার শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর কোনো বিচার আমরা পাইনি। বর্তমান কারাগারে বন্দী দীপঙ্কর তালুকদারের সামনেই বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তার সামনে লাশ ছিল। এসবের বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি।এখন হাসিনা চলে গেছে। এরপর যে ক্ষমতায় এসেছে, সেও হাসিনাকে অনুসরণ করছে।'

তিনি বলেন, 'এক বছর আগে কৃষক, শ্রমিক যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের কোনো অধিকার পূরণ হয়নি। দেশের সাধারণ মানুষের রক্তে যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারা সেবক হিসেবে বসেনি। তারা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, তারা তাদের স্বার্থের জন্য ক্ষমতায় বসেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, আর গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর যেন কেউ শোষণ-নিপীড়ন চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা কেবল একটা রেজিম হটিয়েছি। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।'
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী শাখার আহ্বায়ক জশদ জাকির সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাম্রাসাইন মারমা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন, ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক নেতা হারুন অর রশীদ, শাখা ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।