এনসিপি ‘কিংস পার্টি’, তাদের দুজন এখন সরকারে আছে: ইফতেখারুজ্জামান

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) 'কিংস পার্টি' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে 'কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টিআইবির প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল বা কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছে। এই কিংস পার্টি কারা—এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'এটা গোপন করার কিছুই নেই। এনসিপিকে কিংস পার্টি বলা হয়েছে,কারণ, এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হিসেবে কিংস পার্টি।'
তিনি আরও বলেন, 'গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক যাত্রা 'অশুভ' ছিল। সেদিন বিকেল থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের একাংশ দলবাজি, চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। মনকি দলের উচ্চপর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এসব অনিয়ম নতুন দলগুলোতেও প্রভাব ফেলেছে, যারা জন্মলগ্ন থেকেই একই ধারা অনুসরণ করেছে,' বলেন তিনি।
টিআইবির গবেষণায় গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১১ মাসে ৪৭১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ১২১ জন নিহত এবং ৫ হাজার ১৮৯ জন আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় বিএনপি জড়িত ছিল ৯২ শতাংশে, আওয়ামী লীগ ২২ শতাংশে, জামায়াতে ইসলামি ৫ শতাংশে এবং এনসিপি ১ শতাংশ ঘটনায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, সরকার পতনের পর ঢাকার ৫৩টি পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে পাথর কোয়ারি ও নদী থেকে পাথর লুটপাট, বিভিন্ন সরকারি ইজারা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে 'মব' গঠন, সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর কথাও উঠে আসে।