দায়রা আদালতেও জামিন হয়নি সাবেক সিইসি নূরুল হুদার

রাষ্ট্রদ্রোহ, জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে করা মামলায় সিএমএম আদালতের পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতেও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন নূরুল হুদার পক্ষে তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন উত্তরা এলাকা থেকে নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাষ্ট্রদ্রোহ, জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১ জুলাই তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত ২ জুলাই তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব 'পালন না করে' উল্টো 'ভয়-ভীতি দেখিয়ে' জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান এ মামলার বাদী, যিনি একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই মামলার আসামি। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।