দুদকের তদন্ত বা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মীদের পদোন্নতি নয়: অর্থ মন্ত্রণালয়

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বিভাগীয় মামলা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা বা ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত হলে কিংবা গ্রেপ্তার বা বিচারাধীন থাকলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদোন্নতি পাবেন না।
সোমবার (৪ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক দু'টি পদোন্নতি নীতিমালা জারি করে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন নীতি অনুযায়ী, পদোন্নতির জন্য চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদিত হওয়ার পর যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে চার্জশিট দাখিল হয়, তবে পদোন্নতির প্যানেলের মেয়াদের মধ্যে যদি তিনি কোনো শাস্তি ছাড়া ওই চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পান, তাহলে সংরক্ষিত শুন্য পদে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে। তবে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে যদি তিনি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি না পান বা শাস্তিপ্রাপ্ত হন, তাহলে ওই পদে প্যানেলের পরবর্তী প্রার্থীকে বিবেচনা করা হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, অসদাচরণের জন্য লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছর পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন না। গুরুদণ্ডের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা হবে দুই বছর।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূচকে সর্বোচ্চ ৯২ নম্বরের মধ্যে অন্তত ৭৫ নম্বর না পেলে কোনো পদেই কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হবে না।
সার্বিক মূল্যায়নে একাধিক প্রার্থীর নম্বর সমান হলে ফিডার পদে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মেধা তালিকায় স্থান নির্ধারণ করা হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, পদোন্নতির চূড়ান্ত আদেশের পর সংশ্লিষ্ট পদে যোগদানের মাধ্যমেই তা কার্যকর হবে। যারা লিয়েনে রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও মূল পদে যোগদানের আগ পর্যন্ত পদোন্নতি কার্যকর হবে না।
উপব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বা সমমান পদে পদোন্নতির জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। আর সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) পদে পদোন্নতির জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওকে প্রধান করে পৃথক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।