বৃষ্টিতে সবজির দাম চড়া, বেড়েছে ডিম-মুরগিরও

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম, মুরগি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল ও বিভিন্ন ধরনের সবজি। এতে সাধারণ মানুষের খরচও বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন ভোক্তারা।
শুক্রবার রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা, নতুন বাজার ও রামপুরার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির এক ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই ডিমের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, অর্থাৎ ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।
একইভাবে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। গত সপ্তাহে এসব মুরগির দাম ছিল এর চেয়ে ১০ টাকা কম।
শাহজাদপুরের ডিম বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, 'অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়লে মানুষ ডিমের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আড়তে দাম বেড়েছে।'
এদিকে জুলাই মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির দাম চড়া। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি বেগুন, ঝিঙা, কচুর লতি ও করলা বিক্রি হচ্ছে এই দামে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, আর কাঁচামরিচের কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।
ঢেঁড়স ও পটলের দামও ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে—প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। কারওয়ানবাজারের পাইকারি বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, 'সাধারণত এ সময়টায় একটু দাম বাড়েই। আড়তে দাম বাড়ায় আমাদেরও বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে।'
কোরবানির ঈদের পর চালের দামও বাড়তে থাকে, এবং এখনও পর্যন্ত তা কমার লক্ষণ নেই। ব্রি-২৮ ও পাইজাম জাতের মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকায়। মিনিকেট চালের বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন ডায়মন্ড, সাগর ও মঞ্জুর ৮০ টাকায় এবং মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সব কিছুর দাম বাড়ছে। আগে আগে বাড়তো, পরে কমতো। এখন তো বাড়েই শুধু, কমে না। চালের বস্তায়ই ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। সবজি, ডিম, মুরগি, মাছ—সব কিছুর দামই বেশি। ঢাকায় বাসা ভাড়া দিয়ে এরপর খাওয়া-দাওয়া চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।