জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে জাতীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত ছাত্র সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
রাকিব বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলো ছাত্রদল।'
তিনি বলেন, 'পরবর্তীতে এই দিনে একই স্থানে সমাবেশ করতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে এনসিপির পক্ষে থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাবেশ স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
রাকিব আরও বলেন, 'এ ধরনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করার পর, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর কর্মসূচিটি ভিন্ন কোন স্থানে সরিয়ে নেয়া খুবই বিব্রতকর ও কষ্টসাধ্য একটি কাজ। কর্মদিবসে আমাদের কর্মসূচির কারণে যেন কোন জনভোগান্তি তৈরি না হয়, সমাবেশটি শহীদ মিনারে করতে চাওয়ার এটিও ছিল একটি অন্যতম কারণ।'
তিনি বলেন, 'তাছাড়া আমরাই যেহেতু কর্মসূচিটি প্রথমে ঘোষণা করি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিও লাভ করি, তাই উক্ত স্থানে সমাবেশ করার আমরাই একমাত্র বৈধ দাবিদার। তারপরেও একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সহাবস্থানে বিশ্বাসী, পরমতসহিষ্ণু, গ্রহণযোগ্য সকল মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সংগঠন হিসেবে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুরোধকে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাবেশের স্থানটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।'
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, 'আমরা চাইলে সমাবেশটি ঘোষিত স্থানেই করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কাঁটার পরিবর্তে ফুল দিলাম। আমরা উসকানির বিপরীতে শান্তি ও সহাবস্থানের বার্তা দিলাম। আমরা মনে করি, আমরা অকারণ উত্তেজনা ছড়ানোর বদলে উদারতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম।'
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, 'গত জুলাই আগষ্টে আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক কর্মচারীদের বিচার না হওয়ার আগে এমন নির্বাচন আয়োজন কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এরপরও আমরা তফসিল ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ৪০টির বেশি সংস্কারের সুপারিশ করেছি, সেখান থেকে মাত্র ৪ টি সংস্কার সুপারিশ তারা আমলে নিয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ইয়া ইয়া আফসান, সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।