অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতে টাস্কফোর্স গঠন

জাতীয় পর্যায়ে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রণয়ন ও জনগণের জন্য তা সহজলভ্য করতে করণীয় নির্ধারণে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ টাস্কফোর্সে দেশের খ্যাতনামা মেডিসিন, ফার্মেসি, স্বাস্থ্য অর্থনীতি, স্ত্রীরোগ, শিশুরোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
টাস্কফোর্সে আহ্বায়কসহ মোট সদস্য সংখ্যা ১৬ জন এবং একজন সদস্য সচিব আছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ২৪ জুলাইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের রোগপ্রবণতা ও রোগের ধরন বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা প্রস্তুত করাই এ টাস্কফোর্সের মূল দায়িত্ব।
এছাড়া এই তালিকাভুক্ত ওষুধগুলোর প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে 'রেগুলেটেড মার্ক-আপ প্রাইসিং' অথবা 'কোস্ট-প্লাস প্রাইসিং'-এর মতো স্বীকৃত নীতিমালার আলোকে বিভিন্ন ফরমুলেশনের জন্য প্রয়োগযোগ্য কর্মপদ্ধতি বা ফর্মুলা প্রণয়নের কাজও করবে টাস্কফোর্সটি।
অন্যান্য ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও 'রেফারেন্স প্রইসিং' (আভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ) বা অন্য কোনো স্বীকৃত পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। এতে দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ও ওষুধ শিল্পের যৌক্তিক মুনাফার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এক বা একাধিক বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি নির্ধারণ ও প্রয়োগের জন্য সুস্পষ্ট কর্মপদ্ধতি তৈরি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনে টাস্কফোর্স উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
টাস্কফোর্সটি আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।