মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেশি আসামি করায় তদন্তে দেরি হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করায় ৫ আগস্টের পর হওয়া হত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টার মামলাগুলোর তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'একটি হত্যা মামলায় যেখানে ২০ জন আসামি হওয়ার কথা, সেখানে আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে। এতে তদন্তে সময় বেশি লাগে। আমরা বলেছি, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থে নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করেছে। তারা যদি প্রকৃত অপরাধীদের নাম দিত, তাহলে এত সমস্যা হতো না।'
উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সারাদেশে লুট হওয়া এবং জুলাইয়ের আন্দোলন দমনে ব্যবহৃত সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। নির্বাচনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। নির্বাচন শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয়, সবচেয়ে বড় দায়িত্ব যারা নির্বাচন করবেন তাদের। এরপর নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, সবাই মিলে কাজ করলে ভালো নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।'
তিনি বলেন, 'অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। যা সত্যি ঘটছে তা প্রচার করলে এই সমস্যা কমে আসবে। সত্য তথ্য তুলে ধরতে হবে। কিছু উসকানিদাতা থাকবেই, তারা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করবে। যারা পুলিশের সঙ্গে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বলবো, নিজেরা যা করছেন করুন, পুলিশের সঙ্গে বিভেদ করবেন না। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, আপনাদের কাজ জনগণের সমর্থন আদায় করা।'
এর আগে তিনি র্যাব-১১ এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের আমরা নিতে চাই, কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিচ্ছি না; তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি। বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে প্রোপার চ্যানেল আছে। তবে নদীর পাড়ে বা জঙ্গলে তাদের ফেলে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ।'
এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক একে এম শহীদুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রমুখ।