বার্ন ইনস্টিটিউটে আরেক শিশুর মৃত্যু, মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ৩২

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়াল।
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়মান (১০) নামে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, আয়মানের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এ দুর্ঘটনার হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। সর্বশেষ সেই তথ্য অনুযায়ী, এই বিমান বিধস্তের ঘটনায় মোট ৫১ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে; মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আছড়ে পড়ে ওই স্কুল ভবনে। সে সময় শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ক্লাস করছিল, আবার অনেকে ছুটি শেষে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন স্কুল ভবনে ধরে যায়। দগ্ধ শিশুদের আর্তনাদ, সন্তানের খোঁজে পাগলপ্রায় অভিভাবক-স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার, স্কাউটসহ স্বেচ্ছাসেবীরা; শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান অনেকে। বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও মারা যান।