মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা সেই শিক্ষক ১০০% দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হওয়া শিক্ষক মেহরিন চৌধুরী মারা গেছেন।
গতকাল (২১ জুলাই) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৪৪ বছর বয়সী মেহরিন কলেজের প্রাইমারি সেকশনের শিক্ষক ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হন। ফাইটার জেটটি মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের প্রাইমারি সেকশনে বিধ্বস্ত হলে তিনি শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে ছুটে যান। এতে তার শরীরের শতভাগ পুড়ে যায়।
সোহেল হোসেন নামে মেহরিনের এক আত্মীয় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, 'তিনি (মেহরিন) অনেক শিক্ষার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে পেরেছিলেন, কিন্তু নিজে আর বের হতে পারেননি। শরীরের একটা অংশ আগুন ধরে গিয়েছিল।'
পরে তাকে দ্রুত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন।
গতপকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বীর উত্তম একে খন্দকার বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে শিশুসহ পাইলট মিলিয়ে অন্তত ২০ জন নিহত হন এবং ১৭০ জনের বেশি আহত হন।
ক্লাস শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বিমানটি স্কুল ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে ভয়াবহভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দগ্ধ অনেককে বর্তমানে সিএমএইচ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।