গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: আদালতের নির্দেশে নিহত ৩ জনের লাশ উত্তোলন, পাঠানো হয়েছে হাসপাতাল মর্গে

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত পাঁচ জনের মধ্যে তিনজনের লাশ সোমবার (২১ জুলাই) আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে তা পাঠানো হয় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
এদিকে, মামলায় সাধারণ নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংঘর্ষ থামাতে গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদীরা আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর ১টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিততে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে রমজান কাজী ও ইমন তালুকদার এবং টুঙ্গিপাড়ায় ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দাস্তগীরের উপস্থিততে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্যার মরদেহ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা বলেন, মামলা বিষয়ে তাদের কিছু না জানালেও পুলিশের মাধ্যমে খবর দেওয়া হয় লাশ উত্তোলন করা হবে। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
গুলি করে কেন মারা হলো এর বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিকে, গোপালগঞ্জে দায়ের করা হত্যা মামলাসহ কোনো মামলায় যেন সাধারণ নিরীহ মানুষকে হযরানি না করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সেই সঙ্গে নিবন্ধিত দলের সভা-সমাবেশ হামলার ঘটনা আর যেন না ঘটে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান এই নেতা।
নিহত বাকি দুইজনের মধ্যে দীপ্ত সাহার মরদেহ হিন্দু ধর্মীয় মতে পৌর শ্মশানে সৎকার এবং রমজান মুন্সীর মরদেহের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়।