ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে আদাবরে ইব্রাহিম হত্যা, এক আসামির দায় স্বীকার

রাজধানীর আদাবর থানাধীন এলাকায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দের জেরে গুলি করে ইব্রাহীম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার রুবেল দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একই ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় সজীব নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক আজিজুর রহমান আসামি রুবেলকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি রুবেল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা অস্ত্র আইনে করা মামলায়— গ্রেপ্তার আসামি সজীবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক কর্মকর্তা কমল চন্দ্র ধর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. এহসানুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর আদাবর থানাধীন নবোদয় হাউজিং সোসাইটির বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে সোহাগের দোকানে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে মামলার আসামিদের স্থানীয়ভাবে সালিশ বসে। কিছুক্ষণ পর আসামি মো. রুবেলসহ মামলার অপর এজাহারনামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে। ভুক্তভোগী ইব্রাহিমের সঙ্গে আসামিদের আপোষ মীমাংসা না হওয়ায় আসামিরা ইব্রাহিমের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে। ভুক্তভোগীকে চড় থাপ্পড়, কিল ও ঘুষি মারতে থাকে। তখন ইব্রাহিম চলে যেতে চাইলে আসামি মো. রুবেল মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর আসামি মো. সজীব কোমড় থেকে পিস্তল বের করে ভিকটিমের বুকে গুলি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা আসামিদের আটক করে পুলিশে দেয়।
ওই ঘটনায় আজ (১৭ জুলাই) আদাবর থানায় নিহতের ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়েন করেন। একই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন।