কক্সবাজারে সৈকতে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ ১

কক্সবাজারে সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্ট সাগরে গোসলে নেমে আসিফ আহমেদ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮ টার দিকে সৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট এলাকায় মরদেহটি ভেসে আসে বলে জানান, সী সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।
মৃত উদ্ধার হওয়া আসিফ আহমেদ বগুড়া সদরের দক্ষিণ নারুলী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে ঘটনার পরপরই মৃত উদ্ধার হয়েছে কে এম সাদমান রহমান ওরফে সাবাব (২১)। তিনি ঢাকার মিরপুর থানার এ/৭ পল্লবী দক্ষিণের বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে।
ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে, বগুড়া সদরের দক্ষিণ নিধনিয়া দক্ষিণ পাড়ার মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে অরিত্র হাসান।
দুজন মৃত ও নিখোঁজ থাকা একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ সেশনের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।
সী সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গণি বলেন, বুধবার সকাল ৮ টার দিকে সৈকতের সমিতি পাড়া পয়েন্ট সাগরে একটি মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা লাইফ গার্ড কর্মীদের খবর দেয়। পরে লাইফ গার্ডের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করেছে। ঘটনায় নিখোঁজদের বন্ধু ও স্বজনদের দেওয়া ছবি দেখে মৃতদেহটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে আসে। এক পর্যায়ে তারা হিমছড়ি সৈকতে ঘুরতে যায়। পরে তাদের মধ্যে দুইজন বাঁধের উপরে বসে ছিল এবং অপর ৩ জন বাঁধের নিচে নেমে সাগরে গোসল করছিল। এসময় ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই সাগরে ভেসে যায়। ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে সাদমান রহমান ওরফে সাবাব'কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেও অপর দুইজন ভেসে যায়।
ঘটনার পর থেকে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মী উদ্ধার কার্যক্রম চালালেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সন্ধান মিলেনি।