মোংলা বন্দরে দুই মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ খালাস

দেশের দুটি বৃহৎ মেগাপ্রকল্প— রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পাওয়ার গ্রিড-এর জন্য মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা দুটি জাহাজ মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস শেষে তিন দিনের মাথায় বন্দর ত্যাগ করেছে। এসব যন্ত্রাংশ পরবর্তীতে সড়কপথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
জাহাজ দুটির স্থানীয় স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, মালয়েশিয়ার একটি বন্দর থেকে ২ হাজার ৬ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে 'এমভি পিটি রিওয়াইন' নামের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ মোংলা বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এতে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের স্টিল স্ট্রাকচারের পাইপ, রড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আনা হয়। পণ্য খালাস করেছে ষ্টিভিডরস (শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার) প্রতিষ্ঠান মেসার্স অভিরত এজেন্সি কোম্পানি।
অন্যদিকে, রাশিয়ার নবরস্কি বন্দর থেকে ২৪ জুন রওনা দিয়ে ১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায় আরও একটি জাহাজ। এতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন মূল্যবান যন্ত্রাংশ ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইন্টার পোর্ট লিমিটেড এবং পণ্য খালাসকারী প্রতিষ্ঠান একইভাবে মেসার্স অভিরত এজেন্সি লিমিটেড।
শিপিং এজেন্টরা জানান, মাত্র তিন দিনে পণ্য খালাস সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাহাজ দুটি মোংলা বন্দর ত্যাগ করেছে।
মোংলা বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, 'একসঙ্গে ৫০টি পণ্যবোঝাই জাহাজ থাকলেও জনবল ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহে আমরা কোনো সমস্যা দেখি না। ২৪ ঘণ্টা সব শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রস্তুত থাকেন। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, আমদানিকারকরা দ্রুত পণ্য খালাস করতে পারছেন।'
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কম হওয়ায় মেগা প্রকল্পগুলোর পণ্য এখন এখান থেকেই খালাস হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
মোংলা বন্দরের সাথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দূরত্ব কম হওয়ায় দেশের বড় বড় মেগাপ্রকল্পের পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে, এবং যত দিন যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা এখন মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে বলেও জানান বন্দরের এ কর্মকর্তা।