গাজীপুরে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা: গ্রেপ্তার আরও ৩

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয় নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানটির আরও তিন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দিনভর বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এর আগে আরও তিন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এনিয়ে গ্রেপ্তার সংখা দাড়িয়েছে ৬ জনে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- পাবনার সাথিয়া উপজেলার হারিয়াক্রাউন গ্রামের আ. সামাদের ছেলে মো. কাউসার (২৮, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার হলুদিয়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে শামিম আহমেদ (৩৪) এবং সিরাগঞ্জের শাহজাদপুর থানার চরদুগালী গ্রামের সারোয়ার হোসেনের ছেলে রাশেদুল হাসান(৩৩)।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার কাশিমপুর রোডে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয় নামের কারখানার ইলেকট্রিক মেকানিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত শুক্রবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক ৮টা হতে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড এবং আশেপাশের কারখানার শ্রমিকরা বিচারের দাবিতে ওই কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে ও কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কারখানাটি ঘোষণা করে। পুলিশ কারখানা থেকে হত্যাকান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
নিহত ইলেকট্রিক মেকানিক হৃদয় (১৯) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন হারিনাবাড়ী এসরারনগর হাউজিং এলাকায় মিরাজের বাড়িতে মা ও বোনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
হৃদয় গ্রিনল্যান্ড ফ্যাক্টরিতে ডাইং সেকশনের ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে অস্থায়ীভাবে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় শনিবার (২৮ জুন) রাতে নিহত হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার শফিকুল ইসলামের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার হাসান মাহমুদ মিঠুন (২৮) নামে ওই কারখানার এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তার রিমান্ড শুনানির বিষয়ে আদালত আগামী রবিবার তারিখ ধার্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।