পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি: আটক ২; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বিরুদ্ধে মামলা

দুমকি থানাধীন লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির পদ স্থগিত হওয়া যুগ্ম সদস্য সচিব মারজুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক নূরুজ্জামান বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন চরআইচা এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে শিপন হাওলাদার, সদর এলাকার আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুমকি থানায় ৬ জুন মামলা হলেও সম্প্রতি এই তথ্য জানাজানি হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ স্থগিত হওয়া এই নেতাকে 'পেশাদার ডাকাত' বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, দুমকি থানাধীন লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডিউটি করাকালীন পুলিশ জানতে পারে দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫/৬ জনের একটি দল ডাকাতি করার জন্য বরিশাল থেকে পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছে। ডাকাতদের ধরতে টোলপ্লাজায় পুলিশ অবস্থান নেয় এবং তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে থাকে।
আরও বলা হয়, পরবর্তীতে দুটি মোটরসাইকেল চেকপোস্টের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহি তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় দু'জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। আটককৃতরা হলো শিপন ও মামুন। একজন পালিয়ে যায়। এই অবস্থা দেখে পেছনের অন্য মোটরসাইকেলটি ঘুরিয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, মারজুক আব্দুল্লাহ, মামুন ও শিপন পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। মারজুক আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেল রেখে পুলিশের সিগন্যাল পাওয়া মাত্রই পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও স্বীকারোক্তিতে জানায়।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল, ওয়াকি-টকি, ইলেকট্রিক শক ডিভাইস এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জবানবন্দি অনুসারে ওইদিন পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। পলাতক মারজুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গণ অভ্যুত্থানের নয় মাস পরে ১৪ মে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মারজুক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে নাম উল্লেখ করে ২৪৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দিয়ে আলোচনায় আসে। অচেনা ব্যক্তিদের মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে। মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০ মে পদ স্থগিত হয় বলে জানান বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ।