নতুন বন্দোবস্তের দাবিদারেরা মব সৃষ্টি করেছে: মেঘমল্লার বসু

নতুন বন্দোবস্তের দাবিদারেরা মব সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। আজ সোমবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেঘমল্লার বলেন, 'এই যে যারা নিজেদের নতুন বন্দোবস্তের দাবিদার বলেন, তারা তো ৫ আগস্টের পরে সেই কাজ করেন নাই। তারা সবক্ষেত্রে নানাভাবে মবকে এনডোর্স (সমর্থন) করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা নিজেরা মব সৃষ্টি করছেন। এখন এই মব তাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। এখন আর এটা কারোরই নিয়ন্ত্রণে নাই।'
তিনি বলেন, '…এটার দায় আসলে আমাদের সবার ওপর পড়বে। তাদের ওপর পড়বে, তারা করেছে। আমাদের ওপরও পড়বে। কারণ, ১০ তারিখে আমরা হাসনাত আবদুল্লাহকে ক্রিটিসাইজ করে স্ট্যাটাস দেই নাই। ১০ তারিখে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ডিজওন করতে পারি নাই। এই প্ল্যাটফর্ম ৮-১০ মাস থাকার ফলে আমাদের দেশের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়েছে।'
নারায়ণগঞ্জের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা বলেন, 'আমি একটা কাজে নারায়ণগঞ্জে গিয়েছি। সেখানে একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। দোকানদার বলছিলেন, ভাই আপনাকে চেনা চেনা লাগে, আপনি কি সমন্বয়ক?'
দোকানি হতাশার সঙ্গে আরও বললেন, 'ভাই আপনাদের এত ভালোবেসেছিলাম, কোনো রাজনৈতিক দলকে এত ভালোবাসি নাই। আপনারা যা শুরু করলেন!'
মব ভায়োলেন্স প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেঘমল্লার আরও বলেন, 'এই মব ভায়োলেন্স তো আসলে গণ-অভ্যুত্থানের যারা ডেজিগনেটেড নেতা, তাদের হাত দিয়ে শুরু হয়েছে। এই দায় তো আমরা এড়াতে পারব না। তখন যে তাদের কন্ডেম [দায়ী] করা হয় নাই। এর মধ্যে দিয়ে আজ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে রাস্তার একটা পাগলকে ধরে চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া যাচ্ছে।'
এই পরিস্থিতি তো একদিনে তৈরি হয়নি বলে মনে করেন মেঘমল্লার। তিনি বলেন, 'এ পরিস্থিতি তো এক বছর ধরে তৈরি হয়েছে। সেটা কন্ডেম করতে হলে আসলে নিয়মতান্ত্রিকতায় আসতে হয়।'
কিন্তু এই নিয়মতান্ত্রিকতায় কেউ আসবে না বলেই মনে করেন তিনি। বলেন, 'বরং কেউ নিয়মতান্ত্রিকতার কথা বললে তাকে সুশীল-সফট আন্দোলনকারী, আওয়ামী লীগের কুসুম-কুসুম বিরোধিতাকারী ইত্যাদি বলে খারিজ করা হয়েছে।'