খোদ দুদকের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত, ঘুষ দিতে হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিককে: বিবিএস জরিপ

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেবা পেতেও ঘুষ দিতে হয়েছে নাগরিকদের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা গেছে, দুদকের সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে এমন স্বীকারোক্তি এসেছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিকের কাছ থেকে।
আজ ১৯ জুন প্রকাশিত 'সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)' অনুযায়ী, গত এক বছরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নেওয়ার সময় অন্তত ২১ ধরনের দপ্তরে ঘুষ লেনদেনের অভিজ্ঞতা হয়েছে নাগরিকদের।
জরিপ অনুযায়ী, গত এক বছরে যেসব নাগরিক জনসেবা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশেরও বেশি ঘুষ বা দুর্নীতির সম্মুখীন হয়েছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৮.৬২ শতাংশ হলেও, নারীদের ক্ষেত্রে তা তুলনামূলকভাবে কম—২২.৭১ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা নিতে গিয়ে। এই প্রতিষ্ঠানে সেবা নেওয়া নাগরিকদের ৬৩.২৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
দুর্নীতির তালিকায় এরপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (৬১.৯৪ শতাংশ), পাসপোর্ট অফিস (৫৭.৪৫ শতাংশ), ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস (৫৪.৯২ শতাংশ), বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রসিকিউটর (৫৩.৭৭ শতাংশ) এবং ভূমি রেকর্ড/অধিগ্রহণ/সেটেলমেন্ট অফিস (৫১.৪০ শতাংশ)।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের ৬৪টি জেলায় পরিচালিত এই জরিপে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৭ জন নাগরিকের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ১৬-এর আওতায় নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচার ও বৈষম্য বিষয়ে নাগরিকদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরাই ছিল জরিপের মূল লক্ষ্য।