বরিশালের কামারপট্টিতে কোরবানির সরঞ্জামের ব্যস্ততা, জমে উঠেছে দা-বটি বিক্রি

একদিন পরই মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কোরবানির প্রস্তুতিতে জমে উঠেছে পশুর হাট, সেই সঙ্গে চূড়ান্ত ব্যস্ততা নেমে এসেছে বরিশালের কামারপট্টিগুলোতে। কাঠ-কয়লার আগুনে লোহা গলিয়ে দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বরিশাল নগরীর হাটখোলা কামারপট্টি, উজিরপুর উপজেলার সাতলা বাজার এবং বানারীপাড়া উপজেলার কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, কামাররা শেষ সময়ের চাহিদা পূরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
হাটখোলা এলাকার কামার মজিবর রহমান বলেন, 'দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই পেশায় আছি। কোরবানিকে ঘিরে দোকানে দুজন কর্মচারী রেখে কাজ করছি। গত কয়েকদিন তেমন চাহিদা না থাকলেও আজ সকাল থেকে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি শুক্রবারও বিক্রি হবে।'
তিনি জানান, কোরবানির ঈদে সাধারণত দুই দিনের বেচাবিক্রি বেশি হয়। তাই আগে থেকেই ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি বানিয়ে রেখেছেন।
অতুল কর্মকার বলেন, 'কোরবানির ঈদের আগের কয়েকটা দিন ভালো উপার্জন হয়। আগের বছরগুলোতে ১৫ দিন আগে থেকেই বিক্রি শুরু হতো। এবার তেমন হয়নি, তবে দুই-একদিন হলো সন্তোষজনক ক্রেতা আসছেন।'
উজিরপুরের সাতলা বাজারের কামার গণেশ কর্মকার বলেন, 'বড় বড় কোম্পানিও এখন এসব তৈরি করে শোরুমে বিক্রি করছে। এজন্য কর্মকারদের পেশায় ভাটা পড়েছে। তারপরও কোরবানির ঈদে বিক্রি ভালো হয়। আমরা আগেই অনেক সরঞ্জাম তৈরি করে রেখেছিলাম, এখন তা বিক্রি করছি।'
বানারীপাড়ার কামার সতীশ বলেন, 'শেষ সময়ে এসে অনেক অর্ডার পাচ্ছি। মূল বাজারে দোকান না থাকলেও স্থানীয় পরিচিতির কারণে অর্ডার মিলছে। আশা করছি এবারের কোরবানিতে ভালো বিক্রি হবে।'
কর্মকারদের ভাষ্য অনুযায়ী, ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ছুরি ও বটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।