সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় আসিফ নজরুলকে প্রধান করে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও কর্মচারীদের আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কমিটিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে প্রধান করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, এই কমিটি কর্মচারীদের সাথে আলোচনা ও অধ্যাদেশ পর্যালোচনা করে দ্রুত সুপারিশ করবে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
এছাড়া কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর গত ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন।
গতকাল সোমবারও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন এবং আইন ও অর্থ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এই আইন বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।