বৈরী আবহাওয়ায় লামার ৬০ পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রায় ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১ জুন) লামা উপজেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢালুতে অবস্থিত রিসোর্টগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাণহানি রোধে মিরিঞ্জা ভ্যালিসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটের রিসোর্টগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে অতিভারি (>৮৮ মিমি) বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বান্দরবানে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা অতিভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে পড়ে।
এদিকে বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির ফলে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানির স্তর বেড়েছে, তবে এখনও তা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওদের সমন্বয়ে গঠিত 'দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি' ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।