ইশরাকের শপথ ও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগের দাবিতে আজও নগর ভবনে বিক্ষোভ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে আজ রোববারও নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকেরা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনে অবস্থান নিতে শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবারও সকালে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। নগর ভবনের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনে সংহতি জানান নগর ভবনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন।
১৪ মে থেকে ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবারই ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং শপথ পড়ানো থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা স্থগিত চেয়ে রিটকারীর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত লিভ টু আপিল আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
আপিল বিভাগ বলেছেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন। তাতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে।
ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক হোসেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ইশরাকের করা মামলায় রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ে তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করা হয়।
আদালতের রায়ের পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।