উপকূল অতিক্রম করেছে গভীর নিম্নচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের সাগর দ্বীপ ও খেপুপাড়া এলাকায় গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে এটি সাতক্ষীরা ও এর আশপাশের এলাকায় স্থলভাগে অবস্থান করছে। এটি উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝামাঝি দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে অমাবস্যা ও নিম্নচাপের মিলিত প্রভাবে অন্তত ১৪টি জেলার উপকূলীয় অঞ্চল ও আশপাশের দ্বীপ-চরে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলা হলো—চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এই অঞ্চলে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।