৮ দিনের রিমান্ডে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন

অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের (৬১) আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও তার অপর তিন সহযোগীর ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তারা হলেন- আবু রাসেল মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।
এদিন প্রত্যেক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।
তারা 'সেভেন স্টার গ্রুপ' নামে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালনা করতো। সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর— জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।
বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে।
পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল অনুমান ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের এ মামলার সাথে জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে— তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হতে পারে। তাই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দশ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।