ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম বিল কমিয়ে ৪০০ টাকা করলো বিটিআরসি

কম খরচে মানসম্মত ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক ন্যূনতম চার্জ ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
পাঁচ এমবিপিএস গতির সংযোগে এ নতুন ট্যারিফ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। একইসঙ্গে ১০ এমবিপিএস ও ২০ এমবিপিএস সংযোগের মাসিক বিল ১০০ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ৭০০ ও ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারিত এ নতুন ট্যারিফ ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছে বিটিআরসি।
তবে গ্রাহকরা গত এক মাস ধরে বাসাবাড়ির শেয়ার্ড সংযোগে দ্বিগুণ গতি পাচ্ছেন, যা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মতিতে কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবাদাতা অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'গত এক মাস ধরে ১০ এমবিপিএস শেয়ার্ড সংযোগ ৫০০ টাকায় দিচ্ছে আইএসপিগুলো, এখন সেটিই ৪০০ টাকায় নেমে আসবে।'
২০২১ সালে চালু হওয়া বিদ্যমান বিটিআরসি নীতিমালা অনুযায়ী, একসঙ্গে সর্বোচ্চ আটজন গ্রাহকের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ শেয়ার করার সুযোগ পায় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
আমিনুল জানান, এটি ব্যান্ডউইথ শেয়ারিংয়ের সর্বোচ্চ সীমা, যা টেকনিক্যাল ভাষায় কনটেনশন রেশিও নামে পরিচিত। তবে বাস্তবে বাসাবাড়িতে ব্যবহারকারীদের জন্য অফিস সময়ে এ অনুপাত ১:২ করা হয়, আর সন্ধ্যার পর বাড়িতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে তা বাড়ানো হয়।
অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কম গতি ও গতি ওঠানামা—যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
'মূলত টেকনিক্যাল কারণে গতি ওঠানামা করে থাকে এবং দ্রুতই ব্যাকআপ সুবিধা দিয়ে তা সমাধান করেন সেবাদাতারা,' বলেন আমিনুল। নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থা সহজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গত ১৮ মে আইএসপিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিটিআরসি সেবার মান নিশ্চিত করতে বাধ্য করেছে সেবাদাতাদের।
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়বদ্ধ করতে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলে গ্রাহক বিলের অর্ধেক দেবেন। ১০ দিন সংযোগ না থাকলে ২৫ শতাংশ এবং ১৫ দিন বন্ধ থাকলে কোনো বিলই দিতে হবে না।
আইএসপিএবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই শেয়ার্ড রেসিডেনশিয়াল সংযোগ।