ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত; গ্রেপ্তার তিন

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নিহত হয়েছেন। শাহবাগ থানা পুলিশ তার হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া উইং।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন: মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮), ও মো. পলাশ সরদার (৩০)।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর সংবাদমাধ্যম ইউএনবিকে বলেন, ঘটনার পরপরই শাহবাগ থানার বেশ কয়েকটি টিম দুর্বৃত্তদের আটকের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই তিনজন সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি ওসি। এ ছাড়া, পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (১৩ মে) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন রমনা কালীমন্দিরের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানান শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর।
তিনি এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। সাম্য একইসঙ্গে ছাত্রদলের এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশের তথ্যানুসারে, সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাম্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সময় রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যর মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
পুলিশ আরও জানায়, এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের তর্কবির্তক শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা তাদেরকে কিল, ঘুষি ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। পরে একজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ডান রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা সাম্য ও ও তার বন্ধুদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সহপাঠীরা সাম্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।