শ্রীনগরের স্কুল ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ধ্বংসাবশেষের ছবি তোলেন এপির ফটোগ্রাফার

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার দাবি করার পরপরই এপির ফটোসাংবাদিক দার ইয়াসিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের উপকণ্ঠে একটি জ্বলন্ত বিমানের খবর পান।
রাত তখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ইয়াসিন দ্রুত ঘটনাস্থলে—দক্ষিণ কাশ্মীরের পাম্পোর এলাকার ওয়ান গ্রামে ছুটে যান।
প্রথমে ভারতীয় বাহিনী তাকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে তিনি কোনোমতে ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন, ততক্ষণে সূর্য উঠে গেছে।
দার কয়েকটি ভাঙা গাছের ডাল এবং একটি স্কুলের টিনের ছাদের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পান, এগুলো বিমানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি দ্রুত ছবি তুলতে শুরু করেন।
দার জানান, ভারতীয় বাহিনী তাকে ও অন্যান্য সাংবাদিকদের ধ্বংসাবশেষের কাছে যেতে দেয়নি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে জানান, বিমানের কিছু অংশ প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি মসজিদের চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। দার দ্রুত সেখানে ছুটে যান এবং ভারতীয় বাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলার আগেই ধ্বংসাবশেষের কিছু ছবি তুলতে সক্ষম হন।

বিমানটি মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়েছিল, না কি মাটিতে পড়ার পর তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে দার বলেন, 'স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগুনের একটি বিশাল গোলা বের হতে দেখেছেন এবং ধ্বংসাবশেষটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল।'
তিনি জানান, আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয় এবং আশেপাশের উদ্বিগ্ন মানুষজন নিজেদের স্মার্টফোনে জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষের ছবি তুলছিলেন।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করে বলে জানান দার।