প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট করে খাদ্য উৎপাদন হয় না, হয় শিল্পপণ্য: ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে যদি প্রাণ-প্রকৃতি ধংস করে ফেলি, তাহলে সেটি খাদ্যপণ্য হবে কি? সেটা তো শিল্পপণ্য হয়ে যাবে। যদি কৃষিপণ্যকে শিল্পপণ্যের মতো উৎপাদন করি, তাহলে সেটি খাদ্য থাকবে না এবং সেখানে কৃষকও থাকবে না।
আজ সোমবার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত 'কৃষি, নিরাপত্তা ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলনে' খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের ন্যায্যতা শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কথা বলা হচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে কোনো ক্ষতি করছি কি না, সেটিও দেখতে হবে। কারণ, এর ফলে গবাদিপশুর ব্যবহারও কমে যাচ্ছে। এখানে ভোক্তার দিকটাও দেখতে হবে যেন তারা নিরাপদ খাদ্য পায়। আবার কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে যেন তারা উৎপাদন করে লাভবান হন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনায় দেশের কৃষির উন্নয়নে ২৫ বছরের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কৃষির স্বাস্থ্য বললে মাটির কথা বলতে হয়। আমরা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। আমরা মাটির উর্বরতা অনুযায়ী কোন অঞ্চলে, কোন মাটিতে কি ফসল ভালো হবে, সেটি নির্ণয় করে ওই মাটিতে উপযুক্ত ফসল চাষের দিকে এগোবো।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, টি কে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মাদ মুস্তাফা হায়দার, এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।