মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে মে মাসে ৯.০৫ শতাংশ, জুনে ৮ শতাংশের নিচে নামার আশা অর্থ উপদেষ্টার

মে মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিএসের তথ্যে আরও দেখা গেছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসে কমে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
একইভাবে, খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কমে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এদিকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি জুন মাসের মধ্যে ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার নিশ্চিত করা জরুরি, যার জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা প্রয়োজন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের ধারাবাহিকভাবে গ্রহণ করা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে নীতিগত সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সংকোচনমূলক রাজস্ব নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
এতে অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
উপদেষ্টার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের এপ্রিলে কমে এসেছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে।
তিনি বলেন, 'এ বছরের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করা যাচ্ছে, জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।'