নোয়াখালীতে যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা, গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে শাকিল (২৮) নামের যুবদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার ছোট ভাই ও ছাত্রদল নেতা শুভ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার এলাকার ইসলামীয়া মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল ও আহত শুভ ওই এলাকার সোলাইমান খোকনের ছেলে।
স্থানীয়রা তিন হামলাকারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ধীবপুর গ্রামের খোকন মেম্বারের ছেলে মোরশেদ আলশ (২৪), আব্দুস সাত্তারের ছেলে জীবন (২৪) এবং মনির হোসেন (২২)।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে শাকিল ও শুভসহ কয়েকজন ইসলামীয়া মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েকজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব নামের এক তরুণকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে এবং পালানোর সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে শুভ গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা ধাওয়া করে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে এলাকাবাসী আহত দুই ভাইকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন সাংবাদিকদের বলেন, 'শাকিল যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। তার ভাই শুভ ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'
তবে, তিনি হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।'
তিনি আরও বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। হামলাকারীরা অস্ত্র পাশের একটি ডোবায় ফেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পানি সেচে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্য জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'